
Mojaru
জান্নাতুল মাওয়া লাবন্য
মাস পেরুলেই পরীক্ষা! সময় একদমই কম। কিন্ত এই কম সময়ে সর্বোচ্চ সাধনায় সুন্দর একটা ফলাফল আশা করা যায়। সেজন্য প্রয়োজন আত্মবিশ্বাস আর অধ্যবসায়। শিক্ষাজীবনের একটা বড় সময় কাটালে তো বিদ্যালয়েই! এইবার স্বপ্ন একটু বড়ই। তার পথে প্রথম সোপান হয়ে দাঁড়াবে তোমার এসএসসি পরীক্ষাটিই!
এই কম সময়ে কিভাবে নিবে প্রস্তুতি? আজকে আমরা সে বিষয়েই আলোচনা করবো —
পরীক্ষার আগে কয়দিন সময় পাচ্ছো তা খেয়াল করো –
বাঁধাধরা নিয়মে কখনো সুন্দরভাবে পরীক্ষা প্রস্তুতি নেওয়া আদৌও সম্ভব নয়। তবে পরীক্ষা পূর্ববর্তী এই সময়টিতে সব টপিক একবার সুন্দর করে পড়তে পারবে কিনা এটা নিশ্চিত করা জরুরি। আর তাই হাতের সময়কে কাজে লাগাতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় – সহজ পরীক্ষার পূর্বে ৩-৪ দিন ছুটি পাচ্ছো! আবার কেমিস্ট্রি এক্সামের পূর্বে ১ দিনও বন্ধ নেই। যদি তোমার কাছে কিছু টপিক কঠিন লাগে তাহলে পূর্ববর্তী এই সময়কে কাজে লাগাও! সময় করে পড়ে ফেলো গুরুত্বপূর্ণ সব বিষয়গুলো। দেখবে রিভিশন দেওয়ার সময় কঠিন টপিকটাকেও লাগবে সবচাইতে সহজ। তাই আর দেরি না করে আজই বসে পড়ো তোমার কাছে যে বিষয়টিকে কঠিন লাগে সেটি নিয়ে!
ঠিক কোন টপিকটি পড়বে তা আগে থেকে ঠিক করে নাও –
ধরো! সিলেবাস হাতে নিয়েই দেখলে ৭ টা চেপ্টার আছে পরীক্ষায়। এবং তুমি একদম প্রথম থেকে পড়া শুরু করলে। আর যদি এমন হয়! এক্সামের আগে সময় মাত্র ১০ দিন। এখন কি আসলেও এটি যুক্তিযুক্ত? প্রথম কয়েকটা চেপ্টার তোমার হয়ত খুব সুন্দরভাবেই পড়া আছে। তাহলে আর অধিক সময় না দিয়ে যে টপিকটা নিয়ে একটু জড়তা কাজ করছে সেইটা পড়া শুরু করো। দেখবে বাকিগুলো অনায়াসে সহজ মনে হবে। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো মার্ক করে রাখতে ভুলো না কিন্তু! আর বিগত কয়েক বছরের প্রশ্নগুলো দেখে নিও। সাথে সমাধান তো অবশ্যই!
পুশ করো ফোনের সবধরণের নোটিফিকেশন–
কালকে পিউয়ের এক্সাম। হঠাৎ ৫ মিনিটের জন্য এক্সাম বিষয়ক একটা আলোচনা দেখতে ফোনটাকে হাতে নিল। এমতাবস্থায় ফেইসবুক , ইস্ট্রাগ্রামেও ব্যয় করলো তার মূল্যবান সময়টিকে। হঠাৎই ঘড়িতে চোখ পড়তে চোখ ছানাবড়া! ৫ মিনিটের কাটা যে কখন ৩০ মিনিটে চলে গেল অনায়াসে। আর এজন্যই! যত প্রয়োজনীয় কাজই থাকুক আজকে করে ফেল। তারপর সব ধরনের নটিফিকেশন পুশ করে ফেল। সোশ্যাল মিডিয়ায় দুনিয়া উল্টে যাক , সেটা তো তোমার পরীক্ষার কাজে লাগছে না। তাই না? পড়ার কোনো কাজে দরকার না লাগলে সম্ভব হলে ফোনটিকেই হাতের সামনে থেকে দূরে সরিয়ে রাখো। এটি তোমার মনোযোগ সরে যাওয়া থেকে রক্ষা করবে। পারলে ডিয়েক্টিভেট করে ফেল সকল সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলো। এটা কিন্তু বেশ সহায়ক! ?
যত্ন নিও মানসিক স্বাস্থ্যের —
চলার পথে হোঁটচ খেতেই পারো! তাই বলে কি থামলে চলে? হতে পারে এই এক্সামটিই তোমার ঘুরে দাঁড়াবার নতুন প্রয়াস! আর তাই সকল নেগেটিভিকে বলো বিদায়। মনে রেখো , যদি স্রষ্টার প্রতি বিশ্বাস আর ধৈর্য থাকে অটল তাহলে কোনো কিছুই তোমাকে পিছপা করবে না। সঠিক গন্তব্যে অগ্রসর হতে তাই প্রয়োজন তোমার মনোবল অর্থাৎ মানসিক সুস্থতা! সাথে নিয়মিত প্রার্থনা করতে থাকো।
তোমাদের মতো আমিও ছিলাম পরীক্ষার্থী! টানটান জড়তা থাকলেও এর মাঝে ছিল বাবা-মায়ের মুখ উজ্জ্বল করবার আকাঙ্খা। যেটা সকলের মাঝেই থাকে। প্রতিটা গন্তব্যই নতুন করে সুযোগের হাত বাড়ায়। আর তাই এই কয়টা দিনকে কাজে লাগিয়ে ফেল। সাফল্য তোমারই সন্ধান করছে!