
Mojaru
ইমতিয়াজ আজাদ
আজ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে দাঁড়িয়ে যদি আমরা কোনো বীজমন্ত্র খুঁজি তাহলে নিঃসন্দেহে আমাদের স্মৃতিতে উজ্জ্বল হবে "Information is power" অর্থাৎ "তথ্যই শক্তি"। কেন তথ্যই শক্তি? বর্তমান ও ভবিষ্যৎ বিশ্বকে যদি আমরা কল্পনা করি তাহলে ভেসে উঠবে অটোমেটেড বিশ্ব। যেখানে কণ্ঠের ইশারায় মুঠোফোন আমাদের সামনে তুলে ধরছে বিশ্বের আনাচ- কানাচের তথ্য, চোখ বা বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আমরা তালাবন্দি করছি আমাদের সম্পদ। শুধু তাই নয়, এক পলকে সমাধান বের করে ফেলছি যে কোন সমস্যার। আরো কত কি! এই সবকিছু সম্ভব হয়েছে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির চলমান ধারার কারণে। যেখানে তথ্য হলো কাঁচামাল আর প্রোগ্রামিং হলো চাবিকাঠি।
আগামী অটোমেটেড বিশ্বে টিকে থাকতে যেকোন মানুষের প্রোগ্রামিং সম্পর্কে ধারণা থাকা এখন যুগের দাবি। স্টিভ জবস বলেছেন, "I think everybody in this country should learn how to program a computer, should learn a computer language, because it teaches you how to think." অর্থাৎ "আমি মনে করি এই দেশের প্রত্যেকেরই কিভাবে কম্পিউটারের প্রোগ্রাম করতে হয় তা শেখা উচিত, একটি কম্পিউটার ভাষা শেখা উচিত, কারণ এটি আপনাকে চিন্তা করতে শেখায়।"
প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজের প্রথম কম্পিউটার তৈরি হয়েছে ১৮৮৩ সালে। অ্যাডা লাভলেস বিজ্ঞানী চার্লস ব্যাবেজের মেকানিক্যাল কম্পিউটারে এটির উদ্ভাবন করেন। তারপর থেকে উন্নতির ধারায় আমরা পেয়েছি Java, Python, C, Ada, Fortran, Visual Basic এর মত অনেক প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ। যেগুলোর মাধ্যমে অটোমেটেড বিশ্বে বদল হয়েছে নানা ক্ষেত্র।
আগামী বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে "প্রোগ্রামিং ফর জুনিয়রস" এখন সময়োপযোগী। কেন "প্রোগ্রামিং ফর জুনিয়রস"? ছোট থেকেই প্রোগ্রামিং এর ধারণা থাকলে তা বর্তমানের পাশাপাশি ভবিষ্যতেও সুফল বয়ে আনবে। কারণ মানব মস্তিষ্কের বিকাশ হয় শৈশব ও কৈশোরেই। শিশুদের প্রোগ্রামিং শেখানোর মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত হতে পারি আধুনিক বিশ্ব সম্পর্কে। বাইরের দেশগুলো আজ নিজেদের যত ক্ষেত্রে সমৃদ্ধ করার প্রতিযোগিতায় মেতে আছে তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে প্রোগ্রামিং। এর মাধ্যমে তারা অটোমেটেড জীবনযাপন পরিচালনার দিক থেকে নিজেদের স্বাবলম্বী করছে। প্রোগ্রামিং-এর মাধ্যমে গেমস থেকে শুরু করে নানান মজার অ্যাপ এবং উন্নত কর্মক্ষম সফটওয়্যার তৈরি সম্ভব।
ছোটরা যদি প্রোগ্রামিং কোর্সের মাধ্যমে নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে পারে তাহলে তারা অ্যাপ উদ্ভাবনার মত সৃজনশীল ভাবনা ভাবতে পারবে এবং তাদের সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটবে। গেমস অ্যাডিকশন ও নানান নেতিবাচক অ্যাডিকশন থেকে নিজেকে দূরে রেখে ছোট থেকেই হতে পারবে দেশ গড়ার কারিগর। ডিজিটাল বাংলাদেশে শিশুদের প্রোগ্রামিং শেখা এখন সময়ের দাবি।
বাংলাদেশকে বিশ্বের সাথে আধুনিক কাঠামোতে গড়ে তুলতে এবং আগামী শিল্প বিপ্লবে একটি সমৃদ্ধ স্থান করে নিতে নতুন প্রজন্মকে প্রোগ্রামিং-এর সাথে পরিচিত করতে হবে ছোট থেকেই। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক জানিয়েছেন আগামী বছর থেকেই প্রাথমিকে প্রোগ্রামিং যুক্ত করা হবে। সবকিছু বিবেচনায় মজারু- মজার শিক্ষাগুরু এনেছে "প্রোগ্রামিং ফর জুনিয়রস" কোর্স । যেখানে সি ল্যাঙ্গুয়েজ এর মাধ্যমে জুনিয়রসরা শিখতে পারবে বেসিক প্রোগ্রামিং। এখন আপনারা বলতে পারেন আমরা মজারুতে কেন যাব? তাহলে বলব মজারুর প্রোগ্রামিং ফর জুনিয়রস কোর্সটি পরিচালিত হবে লাইভ ক্লাসের মাধ্যমে। মজারুর কোর্সটি সহজলভ্য এবং দুই মাসের কোর্সটিতে থাকবে নানা মজার প্রজেক্ট।
ইন্সট্রাক্টর হিসেবে থাকছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স ডিপার্টমেন্টের এক দল চৌকস শিক্ষার্থী। শিশুদের মজার ছলে প্রোগ্রামিং শেখানোর অভিজ্ঞতার ঝুলি তাদের অনেক বড়। কোর্সটির মাধ্যমে আপনাদের সন্তানকে উদ্ভাবক হওয়ার স্বপ্নে আলোকিত করতে পারবেন।