
Md Mehedi Hasan
সব বাবা-মার ভাবনা একরকম হয় না। তবে যারা সচেতন, তারা একটু বেশিই ভাবেন সন্তানের আগামী দিনগুলো নিয়ে। ছোটবেলা থেকেই যদি ঠিক পথটা দেখিয়ে দেওয়া যায়, ভবিষ্যতের দ্বার খুলে যেতে সময় লাগে না। এজন্যই অনেক অভিভাবকের চোখে ক্যাডেট কলেজ শুধু একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, একটা স্বপ্ন, একটা লক্ষ্য, একটা ভবিষ্যতের রূপরেখা। যেখানে ঐক্য ও শৃঙ্খলার মূলমন্ত্রে শিশুরা হয়ে ওঠে আত্মবিশ্বাসী, দায়িত্বশীল এক চৌকস নাগরিক।
ক্যাডেট কলেজ বাংলাদেশের অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখানে শুধু বইয়ের পাঠ নয়, শেখানো হয় নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা আর দেশপ্রেম। এই প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হয় সামরিক বাহিনীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে, যেখানে রয়েছে সুশৃঙ্খল জীবন, মানসম্পন্ন শিক্ষা এবং সুন্দর ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি। এই যাত্রায় সবচেয়ে বড় দায়িত্ব যার, সে হচ্ছে অভিভাবক নিজেই। তাঁর ত্যাগ, সময় আর ভালোবাসার ওপর ভর করে গড়ে ওঠে সন্তানের আত্মবিশ্বাস। তীব্র প্রতিযোগিতার এই পথ জয় করতে পারে সেই শিশুই, যার পাশে দাঁড়িয়ে থাকে এক বিশ্বাসী অভিভাবক আর যার মনে থাকে এক অটুট স্বপ্ন।
আপনার সন্তান কি ক্যাডেট কলেজে পড়ার স্বপ্ন দেখছে?
এই পথটা অনেকটাই আলাদা। নিয়মতান্ত্রিক, প্রতিযোগিতামূলক আর সম্ভাবনায় ভরা। আর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে দরকার সঠিক প্রস্তুতি।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, ২০২৬ সালে ক্যাডেট কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় কী ধরনের প্রশ্ন আসবে? কোন বিষয়ের ওপর বেশি জোর দিতে হবে? সারা দেশে কয়টি কলেজ আছে, কোথায় অবস্থিত, আর কোথায় কত সিট? কোন বয়সে, কী যোগ্যতা নিয়ে ভর্তি হওয়া যায়?
অনেক বাবা-মা এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে খুঁজতেই দ্বিধায় পড়ে যান কোথা থেকে শুরু করবেন, কীভাবে শুরু করবেন। চলুন, ধাপে ধাপে এগিয়ে যাই।
এখানে যা জানতে পারবেন:
১। কলেজগুলোর অবস্থান ও তালিকা
২। ক্যাডেট কলেজে ভর্তির যোগ্যতা
৩। বিষয়ভিত্তিক নম্বর বিভাজন
৪। ক্যাডেট কলেজ সিলেবাস ২০২৬
৫। ঘরে বসে কীভাবে প্রস্তুতি নিতে পারে আপনার সন্তান
বাংলাদেশের ক্যাডেট কলেজ ব্যবস্থার সূচনা হয় পাকিস্তান আমলে। তৎকালীন ব্রিটিশ এবং পাকিস্তানি সামরিক শিক্ষাব্যবস্থার আদলে, নেতৃত্ব গঠনের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা করা হয় এই প্রতিষ্ঠানগুলো। ১৯৫৪ সালে চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের প্রথম ক্যাডেট কলেজ “ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ”। এটি ছিল পাকিস্তানেরও প্রথম ক্যাডেট কলেজ। মূল উদ্দেশ্য ছিল সুশৃঙ্খল ও নেতৃত্বগুণসম্পন্ন নাগরিক তৈরি করা, যারা ভবিষ্যতে সেনাবাহিনীসহ জাতীয় জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার পর, বাংলাদেশ সরকার এই শিক্ষাব্যবস্থাকে ধরে রাখার সিদ্ধান্ত নেয় এবং ধাপে ধাপে আরো আধুনিক ও সময়োপযোগী করে তোলা হয়।
বর্তমানে বাংলাদেশে রয়েছে:
মোট ১২টি ক্যাডেট কলেজে প্রতি বছর কম-বেশি ৬০০ জন বাছাইকৃত উত্তম শিক্ষার্থী ৭ম শ্রেণিতে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে প্রায় ৪৫০ জন ছেলে এবং মাত্র ১৫০ জন মেয়ে ভর্তির সুযোগ পায়। কলেজগুলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। শুধু পড়াশোনা নয়, শৃঙ্খলা, নৈতিকতা, খেলাধুলা, নেতৃত্ব ও ব্যক্তিত্ব গঠনের ক্ষেত্রে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নিচে বাংলাদেশের ক্যাডেট কলেজের তালিকা অবস্থান ও প্রতিষ্ঠার তারিখ উল্লেখ করা হলো:
ভর্তির জন্য ৭ম শ্রেণিতে (Class 7) ভর্তি পরীক্ষা দিতে হয় এবং পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই ৬ষ্ঠ শ্রেণি (Class 6) উত্তীর্ণ হতে হবে। ক্যাডেট কলেজে ভর্তি শুধু ভালো ফলাফল নয়, শারীরিক যোগ্যতাও একটি বড় বিষয়। অনেকেই জানেন না, প্রাথমিক পরীক্ষার পরে মেডিকেল ও শারীরিক ফিটনেস টেস্টে অনেক প্রার্থী বাদ পড়ে শুধুমাত্র উচ্চতা বা ওজনের কারণে। তাই সময় থাকতে এই তথ্যগুলো জানা এবং প্রস্তুতি নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
প্রতি বছর ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে বয়স নির্ধারণ করা হয়। সাধারণত:
ক্যাডেট কলেজে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের শারীরিক যোগ্যতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশেষ করে উচ্চতা ও ওজন, এই দুটি মান চিকিৎসা পরীক্ষার সময় ভালোভাবে যাচাই করা হয়। তাই আগে থেকেই একটি স্পষ্ট ধারণা থাকা গুরুত্বপূর্ণ।
উচ্চতা: ছেলে-মেয়ের ক্ষেত্রে উচ্চতার গড় মান ভিন্ন হতে পারে। সাধারণত ১১-১৩ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নির্দিষ্ট গড় উচ্চতা মানকে গাইডলাইন হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। যদিও এই মান কিছুটা ভিন্ন হতে পারে, তবে উল্লেখযোগ্যভাবে কম উচ্চতা থাকলে তা মেডিকেল চেকআপে প্রভাব ফেলতে পারে।
ওজন: ওজন সাধারণত BMI (Body Mass Index) অনুযায়ী বয়স ও উচ্চতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া উচিত। শিশুদের BMI অনুযায়ী বোঝা যায়, শিশুর ওজন তার বয়স ও উচ্চতার অনুপাতে সঠিক আছে কি না। ক্যাডেট কলেজের ভর্তি প্রক্রিয়ায় এই মান বিবেচনায় রাখা হয়।
নিচে বয়স, উচ্চতা ও ওজন সংক্রান্ত একটি বিস্তারিত সারণি দেওয়া হলো যা ক্যাডেট কলেজ ভর্তির জন্য উপযোগী হতে পারে।
ক্যাডেট কলেজে ৭ম শ্রেণিতে ভর্তি নেওয়া হয়, এবং ভর্তি পরীক্ষা হয় মোট ৩০০ নম্বরের। সময় ৩ ঘণ্টা… সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। পরীক্ষায় চারটি বিষয়ে প্রশ্ন থাকে: বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান। সাধারণ জ্ঞান অংশে ৫-৬টি বিষয়ের উপর প্রশ্ন আসতে পারে। প্রশ্নপত্র তৈরি হয় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) ষষ্ঠ শ্রেণির সিলেবাস অনুসারে।
ভর্তি প্রক্রিয়াটি তিন ধাপে সম্পন্ন হয়: লিখিত পরীক্ষা, মৌখিক পরীক্ষা এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা। নিচে ভর্তি পরীক্ষার নম্বর বিভাজন উল্লেখ করা হলো:
ইংরেজি (১০০ নম্বর)
Grammar: Parts of Speech, Synonyms & Antonyms, Formation of Words, Articles, Number, Gender, Sentences, Tense, Right Forms of Verbs, Spellings, Change of Sentences (Assertive, Interrogative, Imperative, Exclamatory, Affirmative & Negative), Matching (Words with their Meanings), Rearrangement of Jumbled Words, Punctuation Marks & Capital Letters, Verbs (Finite, Non-finite and Modal), Formal and Informal Expressions
Guided Writing: Paragraph Writing, Dialogue Writing, Picture Description, Letter/ Application/ Email Writing, Comprehension (Seen/Unseen Text), Story Writing (From Given Outline), Argumentative Writing
গণিত (১০০ নম্বর)
বিষয়সমূহ: সংখ্যা তত্ত্ব, দ্বি-মাত্রিক বস্তু, তথ্য অনুসন্ধান ও বিশ্লেষণ, মৌলিক উৎপাদক, দৈর্ঘ্য নির্ণয়, পূর্ণ সংখ্যার জগৎ, ভগ্নাংশের ব্যবহার, অজানা রাশির জগৎ, সরল সমীকরণ, ত্রিমাত্রিক বস্তু, ঐকিক নিয়ম, শতকরা ও অনুপাত, সূত্র খুঁজে বের করা ও বোঝা, বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক অংক
বাংলা (৬০ নম্বর)
সাহিত্য অংশ: কবিতা, গান, গল্প, প্রবন্ধ, নাটক, সাহিত্যের রূপ, বৈশিষ্ট্য ও পার্থক্য
ব্যাকরণ অংশ: ভাষা ও বাংলা ভাষা, প্রমিত ভাষা, স্বরধ্বনি, উচ্চারণ, বানান, শব্দের শ্রেণি, বচন ও লিঙ্গ, যতিচিহ্ন, প্রতিশব্দ, বিপরীত শব্দ, এক কথায় প্রকাশ, বাক্য প্রকরণ
নির্মিত অংশ: অনুচ্ছেদ/প্রবন্ধ/গল্প/সংলাপ/রোজনামচা, ভাব-সম্প্রসারণ, সারাংশ/সারমর্ম, পত্র/দরখাস্ত লিখন
সাধারণ জ্ঞান ও বুদ্ধিমত্তা (৪০ নম্বর)
বিষয়সমূহ: বিজ্ঞান, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, ডিজিটাল প্রযুক্তি, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী ও ক্যাডেট কলেজসমূহ, বাংলাদেশ ও বিশ্বের ভূগোল, সাম্প্রতিক ঘটনাবলি (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), খেলাধুলা, বুদ্ধিমত্তা (IQ)
ক্যাডেট কলেজে সুযোগ পাওয়া মোটেও সহজ নয়। তীব্র প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে একজন শিক্ষার্থীকে নিতে হয় কঠোর ও সুনির্দিষ্ট প্রস্তুতি। আর এখানেই তৈরি হয় এক বড় বৈষম্য। কারণ শহরে রয়েছে কোচিং, গাইডলাইন, মডেল টেস্ট, আর অভিজ্ঞ শিক্ষকের ছড়াছড়ি। অথচ গ্রামের একজন মেধাবী শিক্ষার্থী এসব সুবিধা থেকে অনেকটাই বঞ্চিত।
শুধু গ্রাম নয়, অনেক সময় শহরের ব্যস্ত জীবন, যানজট আর ক্লান্তির ভিড়েও প্রতিদিন কোচিংয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে অনেক অভিভাবকই দিশেহারা হয়ে পড়েন, ঠিক কোথা থেকে শুরু করবেন, কীভাবে সন্তানকে প্রস্তুত করবেন?
উপায় একটাই… ঘরে বসে অনলাইনেই সেরা প্রস্তুতি নেওয়া।
এখন প্রযুক্তির বদৌলতে বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা নিরাপদে ঘরে বসেই ক্যাডেট ভর্তি পরীক্ষার জন্য নিজেকে তৈরি করতে পারে। ফলে সময় বাঁচে, খরচ কমে, আর দেশ সেরা এক্স-ক্যাডেট টিচারদের কাছ থেকে পাওয়া যায় গাইডলাইন ও মেন্টরশিপ।
এই বাস্তবতাকেই বদলে দিয়েছে মজারু। মজারুর অনলাইনভিত্তিক ক্যাডেট ভর্তি প্রিপারেশন কোর্স এখন দেশের যেকোনো প্রান্তের শিক্ষার্থীকে ঘরে বসেই ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করছে। আর সেটা শুধু গতানুগতিক কোর্স নয়… একটি পূর্ণাঙ্গ সিস্টেম, যেখানে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে পর্যবেক্ষণ করে, পরামর্শ দিয়ে, ধাপে ধাপে তৈরি করা হয়।
মজারুর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো, এই কোর্সগুলো পরিচালনা করছেন শতভাগ এক্স-ক্যাডেট শিক্ষকরা, যারা নিজেরাই এই কঠিন ভর্তি পরীক্ষার সব ধাপ পার করে এসেছেন। ফলে শিক্ষার্থীরা পাচ্ছে বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে গঠিত সঠিক দিকনির্দেশনা। শুধু তাই নয়, কোর্সের সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছেন দুইজন সাবেক ক্যাডেট কলেজ অধ্যক্ষ ও একজন সাবেক সেনাবাহিনীর মেজর, যাদের অভিজ্ঞতা এবং নেতৃত্ব পুরো প্রোগ্রামকে করেছে অনেক বেশি কার্যকর এবং নির্ভরযোগ্য।
শিক্ষার্থীদের প্রতিটি অধ্যায়, অধ্যয়ন এবং প্রস্তুতি যেন কাঠামোবদ্ধ ও ফলপ্রসূ হয়, সেজন্য রয়েছে:
এই পুরো ব্যবস্থাটি একটি পূর্ণাঙ্গ অনলাইন সিস্টেমের মাধ্যমে পরিচালিত হয়, যেখানে প্রযুক্তি, অভিজ্ঞতা এবং কেয়ারিং মানসিকতা মিলিয়ে গড়ে উঠেছে ক্যাডেট ভর্তি প্রস্তুতির এক অনন্য পরিবেশ। এক নজরে দেখে নেই মজারুর ক্যাডেট কলেজে ভর্তি প্রস্তুতির সেরা অনলাইন প্রোগ্রামগুলো :
1. Cadet Pre-Preparation (Class 3)
2. Cadet Pre-Preparation (Class 4)
3. Cadet Pre-Preparation (Class 5)
4. Mission Cadet ২০২৬ – Intensive Preparation for Final Admission Exam
নিঃসন্দেহে ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হওয়া কোনো সহজ কাজ নয়। এটা এক ধরনের যুদ্ধ। তবে এই যুদ্ধ বন্দুক দিয়ে না… চাই ধৈর্য, নিয়মিত চর্চা আর মনের জোর। যুদ্ধটা কিন্তু শুধু সন্তানের একার নয়, বাবা-মারও। সন্তানের পাশে থেকে প্রতিদিন তাকে সাহস দেওয়া, ভুল করলে রাগ না করে বুঝিয়ে বলা, আর ছোট ছোট অগ্রগতি গুলোতে খুশি হওয়াটাই একজন সচেতন অভিভাবকের আসল কাজ।
অনেক সময় আমরা ভাবি ‘ও তো ছোট, এখন না শিখলেও হবে।’ কিন্তু একটা বীজ তখনই ভালো গাছ হয়, যদি তার শেকড় ঠিকঠাক তৈরি হয়। ক্যাডেট হওয়ার স্বপ্নও তেমনি শুরুটা যত গোছানো হবে, পথটা তত সহজ হবে।
তাই বাবা-মা হিসেবে আপনার দায়িত্ব শুধু একটা কোর্সে ভর্তি করানো নয়। তার প্রতিটি শেখা, প্রতিটি প্রশ্ন, আর প্রতিটি চেষ্টা, আপনাকে পাশে থেকে দেখাতে হবে যে আপনি আছেন। সন্তান জানুক, ওর জন্য কেউ আছে, যে ওর ওপর বিশ্বাস রাখে। এই বিশ্বাস, এই ভরসাটাই একদিন ওকে পৌঁছে দেবে গেট পেরিয়ে ক্যাডেট কলেজের সেই বিশাল মাঠে। আর তখন আপনি হাঁসবেন চুপিচুপি, বলবেন "আমি তো জানতাম, আমার ছেলেটা পারবে।