
আলাদীনের আশ্চর্য প্রদীপের কথা জানো নিশ্চয়ই? জাদুর প্রদীপের গায়ে ঘষা দিলেই হাজির হতো দৈত্য আর পূরণ করতো আলাদীনের তিনটি ইচ্ছে। আচ্ছা কেমন হয় যদি তোমার কাছেও হাজির হয় সেই ইচ্ছে পূরণ দৈত্য? ভাবছো কিভাবে সম্ভব? সম্ভব তো অবশ্যই। রোবটিক্স শিখে এবার তুমিই বানিয়ে ফেলতে পারো তোমার ইচ্ছে পূরণ দৈত্য মানে রোবট। যে তোমার সাথে খেলবে, জরুরি কথাগুলো মনে করিয়ে দেবে, গান শোনাবে আর তা-ই করবে ঠিক যেমন তুমি চাও। খুব চমকপ্রদ বিষয় না? এখনই রোবট বানিয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে বুঝি? ভাবছো কিভাবে বানাবে? কে শিখিয়ে দেবে? আপাতত ভাবনাগুলো একটু দূরে সরিয়ে রেখে চলো জেনে নেই রোবটিক্স সম্পর্কে।
রোবট ও রোবটিক্স
রোবট হল মানুষের তৈরি করা এমন একটি স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা যা মানুষ যেভাবে কাজ করতে বলে ঠিক সেভাবেই কাজ করে আর এর কাজ দেখে মনে হয় যেন এর বুদ্ধিমত্তা রয়েছে। আর রোবটিক্স হল বিজ্ঞানের সেই শাখা যেখানে রোবট তৈরি এবং এর ডিজাইন সহ আমরা কিভাবে রোবটকে কাজে লাগাতে পারি তাই নিয়ে আলোচনা এবং গবেষণা করা হয়।
গোড়ার কথা
শুরুটা অনেক অনেক আগের, খৃস্টপূর্বেরও আগের। পৌরাণিক গল্পগুলোতে পাওয়া যায় কৃত্রিম বেজি, কৃত্রিম ঘুঘু সহ এরকম আরো স্বয়ংক্রিয় বস্তুর। রোবটের ধারণা প্রথম পুরাণেই মেলে। ১৯৪১ সালে প্রকাশিত 'লায়ার' নামক সায়েন্স ফিকশনে সর্বপ্রথম রোবটিক্স শব্দটির ব্যবহার করেন আইজ্যাক আসিমভ।
রোবটিক্সের ইতিহাস
জটিল আচরণের প্রথম ইলেক্ট্রনিক স্বায়ত্তশাসিত রোবট তৈরি করা হয় ১৯৪৮ সালে এবং ১৯৪৯ সালে ইংল্যান্ডের ব্রিস্টল ব্রিডল নিউরোলোজিকাল ইন্সটিটিউটের উইলিয়াম গ্রে ওয়াল্টার দ্বারা। প্রথম ডিজিটাল এবং প্রোগ্রামযোগ্য রোবট আবিষ্কার করেন জর্জ ডিভোল, সময়টা ছিল ১৯৫৪ সাল। পরবর্তীতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সির প্রয়োগে ২০০২ সালে উদ্ভাবন করা হয় শিল্প রোবট। ২০০৪ সালে কার্নেল ইউনিভার্সিটি প্রথম এমন একটি রোবট বানিয়ে ফেলতে সক্ষম হয় যা স্ব-প্রতিক্রিয়ায় সক্ষম ছিল। মজার ব্যাপার কী জানো? এটিই কিন্তু বিশ্বের প্রথম রোবট যা নিজেই নিজের প্রথম কপি করতে সক্ষম ছিল। আর রোবট সোফিয়াকে তো সবাই চেনো। ঐ যে কয়েক বছর আগে বাংলাদেশে এসে ঘুরে গেল।
রোবটের কাজের ক্ষেত্র
কোন কোন ক্ষেত্রে রোবট কাজে লাগানো যায়? উত্তর হলো যেখানে চাওয়া হয় সেই সব ক্ষেত্রেই। শিল্প ক্ষেত্র, সামরিক ক্ষেত্র, বিনোদন, চিকিৎসা এমনকি গৃহস্থালি কাজেও ব্যবহৃত হচ্ছে রোবট। তোমাদের মত শিশুদের জন্য বর্তমানে তৈরি হচ্ছে খেলনা রোবট। যেগুলো তোমার সাথে নাচতে, গাইতে, খেলতে এমনকি দৌড়াতেও সক্ষম। খুব মজার না?
বর্তমান বিশ্বে রোবট
দেখছো তো বর্তমান বিশ্বে কেমন হু হু করে জনসংখ্যা বাড়ছে? এই বিপুল সংখ্যক জনসংখ্যার সাথে সাথে বাড়ছে কাজের চাহিদা। এইসব ক্ষেত্রে মানুষের সাথে সাথে আবার কখনো কখনো মানুষের বিকল্প হিসেবে কাজ করছে রোবট। আগামীর বিশ্ব অনেকাংশেই রোবট নির্ভর। সেই বিশ্বে নিজেকে এগিয়ে নিতে রোবটিক্স শেখা কতটা জরুরি বুঝতেই পারছো নিশ্চয়ই।
মজারুর সাথে রোবটিক্স শেখো
এতক্ষণে নিশ্চয়ই ভাবনায় পড়ে গেছো কোথায় খুব সহজেই রোবটিক্স শিখবে? তোমার পাশে আছে মজারু। এবার মজায় মজায় রোবটিক্সের আগাগোড়া শিখে রোবট বানিয়ে ফেলবে তুমিও। কেমন হবে তোমার রোবট? কোর্সে দ্রুত রেজিষ্ট্রেশন করে ফেলো চটজলদি ভাবতে বসে যাও।
- নুফরাত জেরীন