
Mojaru
জান্নাতুল মাওয়া লাবণ্য
বিভিন্ন চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে পরীক্ষা তবে চলেই এলো! করোনাকালীন এই সময়টিতে পড়াশোনা থেকে বেশ দূরেই ছিলাম আমরা। যার কারণে রিভিশন আর পরীক্ষা প্রস্তুতি মিলিয়ে জড়তার জন্ম নিয়েছে। তবে লক্ষ্যে পৌঁছবার ২য় ধাপ কিন্তু এটিই! পরীক্ষা শেষেই আবার এডমিশন, তারপর নতুন এক দুশ্চিন্তা। তবে এই সময়টিকে কাজে লাগাও সুষ্ঠু উপায়ে। নাহ! দিনে ১৬/১৭ ঘন্টা পড়তে বলছি না, বা সারাদিন পড়াশোনায় মগ্ন থাকতেও বলছি না। যেটুকু সময় আছে সেটাকে কাজে লাগাও যথাযথভাবে। দেখবে প্রতিটি পরীক্ষা দারুণ হচ্ছে!
আর কিছু অনুরোধ রয়েই যায় —
মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করণ :
করোনাকালীন সয়মটিতে মাস্ক আর এপ্রোমে বাঁধা শরীরে রোগ না বাঁধলেও মস্তিষ্ক জুড়ে বেঁধেছে হতাশার বাঁধ! আর এই সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছে দেশের প্রায় ৭০% শিক্ষার্থী। তারপর পড়াশোনার প্রেসার তো আছেই!
তবে নিজের মানসিক সুস্থতা বজায় রাখবার অধিকার আর দায়িত্ব দুটোই তোমার! তাই সময় দাও নিজেকে। ধীরে সুস্থে সততার সাথে নিজের সময়কে কাজে লাগাও দেখবে আঁধার শেষে রক্তিম সূর্য আসবেই!
বিরতি নাও সোশ্যাল মিডিয়া সাইট থেকে :
প্যান্ডামিকের পুরো সময়টায় গেছে অনলাইন ক্লাস আর টুকটাক মিডিয়ামূখী বিনোদনে। তবে হাতের সময়ের দিকেও তো খেয়াল রাখতে হবে তাই না?
সমীক্ষায় দেখা গেছে , ‘একজন মানুষ তার দিনের প্রায় একটা লম্বা সময় অনলাইনে ব্যয় করে।’ এতে যে শুধুমাত্র সময়ের অপচয় হচ্ছে তা নয়! নিজের মানসিক কিংবা মনস্তাত্ত্বিক স্বাস্থ্যেরও অবনতি হচ্ছে। তাই আর সময় ব্যয় বা অপচয় না করে কাজে লাগাও প্রতিটি সময়কে। দেখবে সবকিছু সুন্দরভাবেই সম্পন্ন হচ্ছে!
তাই আজই বিরতি নাও অনলাইন থেকে। গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো শেষ করে নোটিফিকেশন বারটা প্যুশ করে রাখো। আরও ভালো হয় যদি ডিয়েক্টিভেট করে রাখো নিজের সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলো।
রিভিশন দাও কার্যকর উপায়ে :
বইয়ের পাতা খুললেই টপিকের ছড়াছড়ি। তবে ভেবে দেখ তো! এই সবগুলো টপিকই গুরুত্বপূর্ণ? আসলে সেটি নয় ; পড়তে পড়তে গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো বাছাই করে রাখতে পারো। যারফলে লাস্ট রিভিশনের আগ মুহূর্তে সেই টপিকগুলোতে একবার চোখ বুলালেই সহজবোধ্য মনে হয়! তাই একটা কালারপেন নিয়ে শুরু করে দাও দাগাদাগি। ?
রুটিন মেইনটেইন করছো তো? :
না না! আমি পরীক্ষার রুটিনের কথা বলছি না। আমি বলছি , তোমার প্রাত্যহিক রুটিনের কথা। লাস্ট কবে মেইনটেইন করেছিলে মনে পড়ে? আচ্ছা যাইহোক!
এখনই তৈরি করে ফেল নেক্সট একমাসের পাকাপোক্ত একটা রুটিন। যেখানে শুধু পড়াশোনার সময়ই নয় ; থাকবে তোমার প্রাত্যহিক প্রতিটি কাজের সূচি। কোনদিন কোন টপিকটি পড়া শুরু করবে এটিতেও খেয়াল রাখবে। আর এটি অবশ্যই তোমার ব্যক্তিগত স্পাইরাল খাতা বা সাদা কাগজে লিখবে!
তবে একটা কথা! মেবাইল বা মুঠোফোনে রুটিন তৈরি করা চলবে না। ধরে নাও , আগামী একমাস এই মুঠোফোনটাই তোমার শত্রুর ভূমিকা রাখবে। ?
প্রার্থনা করতে ভুলো না! :
জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে কঠোর পরিশ্রম আর প্রার্থনাকে সঙ্গী করে চললে , চলার পথে আর কিছুই বাঁধারূপে আসে না। তাই পরিশ্রম করতে গিয়ে প্রার্থনাকে ভুলো না! স্রষ্টা চাইলে এক মুহুর্তে পারেন তোমাকে বা তোমার জীবনকে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে। তাই নামাজ অথবা ধর্মীয় আরাধনা থেকে দূরে থেকো না যেন!
টেনশনকে জানাও বিদায় :
পরীক্ষার সময় একদমই কম! কি করে শেষ করবো এত্ত পড়া? একটা ভালো ভার্সিটিতে পৌঁছাতে আমাকে ভালো রেজাল্ট করতেই হবে। তবে!
নাহ! এভাবে ভাবতে নেই। ভাবতে হবে পজিটিভ উপায়ে। আর তাই ভাবনার জন্য সময় করে নাও। মনোবল রাখো আর চলতে থাকো সঠিক নিয়মে।
ভাবতে পারো এমন করেও! ‘শিক্ষা জীবনের ২য় ধাপটা প্রায়ই শেষ! এখন শুধু পরীক্ষার অপেক্ষা… তারপরই নতুন পথের গন্তব্য। আর এই গন্তব্যে পৌঁছাতে আমার হাতিয়ার অধ্যবসায় আর প্রার্থনা!’
আর হ্যাঁ! তোমার প্রস্তুতিও নিশ্চয়ই দারুণ! তোমাদের কথা মাথায় রেখেই ডিজিটাল শিক্ষাগুরু মজারু নিয়ে এলো এক অনন্য প্রোগ্রাম!
শেষ সময়ের কঠোর অধ্যবসায়ের প্রস্তুতি যাচাই করতে আজই এনরোল করো মজারু'র এইচএসসি স্পেশাল মডেল টেস্ট ও সল্যুশন প্রোগ্রাম — ২০২১!
কোর্সের বৈশিষ্ট্য —
২০টি লাইভ ক্লাস
২০টি রেকর্ডেড ভিডিও
৬৫টি স্মার্ট নোট
৬৪টি পরীক্ষা
তাই দেরি না করে আজই শুরু করে দাও প্রস্তুতি!
মনে রেখো , প্রতিদিন দিনই তোমাকে নতুন করে সুযোগ দেয় , নতুন উপায়ে জানার অধিকার দেয়! আর এই সুযোগটিকে কাজে লাগাতে পারলেই তোমার জয়জয়কার নিশ্চিত। দোয়া আর শুভকামনা রইল সকলের জন্য! ❤️