
ইমতিয়াজ আজাদ
নেলসন ম্যান্ডেলা বলেছেন, "Education is the most powerful weapon which, you can use to change the world." অর্থাৎ শিক্ষায় সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র যা দিয়ে আপনি বিশ্বকে পরিবর্তন করতে পারবেন। বিশ্ব পরিবর্তনের এই শিক্ষা নিঃসন্দেহে হতে হবে যুগোপযোগী। বর্তমান অটোমেটেড বিশ্বে দিন বদলের অন্যতম শিল্প হলো রোবটিক্স। আমাদের বিশ্বে এখন প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে দেখা যায় রোবটের আনাগোনা। প্রাচীন আমল থেকে রোবটিক্স থিওরির দেখা মেলে, যা সময়ের পরিবর্তন ও কৃত্রিম বিবর্তনে আধুনিক রোবটের রূপ নিয়েছে। রোবট সহজ করে দিয়েছে নানান কঠিন কাজকে। যে কাজ মানুষের দ্বারা সম্ভব নয় সে কাজের সমাধান করেছে রোবট। মানুষ ধীরে ধীরে রোবট নির্ভর অটোমেটেড বিশ্ব রূপায়ণ করতে চলেছে। বড় বড় ফ্যাক্টরি ও উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবন থেকে শুরু করে চিকিৎসা ক্ষেত্রে এমনকি শিক্ষাক্ষেত্রেও রোবট জায়গা করে নিয়েছে। বিশ্বের প্রতিটি দেশ রোবট শিল্পে নিজেদের সমৃদ্ধ করতে তৎপর। যে দেশ রোবটিক্সে যত উন্নতি আনতে পেরেছে সে দেশ ততবেশি শিল্প ও উৎপাদন ক্ষেত্রে ইতিবাচক বিপ্লব দেখেছে। আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার খাতিরে রোবটিক্স সম্পর্কে ধারণা অতীব জরুরী।
প্রাচীন গ্রিক সভ্যতায় অটোমাটা বা অটোমেটেড ডিভাইসের উদ্ভাবন হয়। তৎকালীন গণিতবিদ ও উদ্ভাবকরা এ সকল ডিভাইস উদ্ভাবন করেন।খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীতে গ্রীক পুরানে দেখা মেলে "ম্যান অফ ব্রোঞ্জ" এর। "দ্যা পিজিওন" নামক মেকানিক্যাল পাখির উদ্ভাবন হয় একই শতাব্দীতে। এই মেকানিক্যাল পাখির উদ্ভাবন করেন গণিতবিদ আরকিতাস। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বিভিন্ন বিজ্ঞানী ও গবেষকদের বিজ্ঞানচিন্তার কল্যাণে অটোমাটা বা অটোমেটেড ডিভাইস আধুনিক রোবটে রূপ নিয়েছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে আধুনিক রোবট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। প্রথম ডিজিটালভাবে পরিচালিত এবং প্রোগ্রামযোগ্য রোবটটি ১৯৫৪ সালে জর্জ ডেভল আবিষ্কার করেছিলেন এবং আধুনিক রোবোটিক্স শিল্পের ভিত্তি উপস্থাপন করেন।
"রোবটিক্স ফর জুনিয়রস" স্লোগান বর্তমানে যুগোপযোগী। কেন রোবটিক্স ফর জুনিয়রস? শিশুদের মেধা বিকাশ ঘটাতে তাদেরকে সৃজনশীল ও উদ্ভাবনমূলক কাজের সাথে পরিচিত করা প্রয়োজন। রোবটিক্স এমনই একটি সাবজেক্ট যা চমকপ্রদ ও আকর্ষণীয় বটে। শিশুরা রোবটিক্স-এর মাধ্যমে আগামী বিশ্বে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন দেখতে পারবে। সাধারণত বর্তমান যুগের বেশিরভাগ শিশুরা গেমস ও বিভিন্ন নিষ্ফল কাজে আসক্ত। রোবটিক্স এর মত মজার সাবজেক্ট তাদের এসব আসক্তি থেকে বের করে আনতে পারবে। নিজেকে উদ্ভাবক হিসেবে গড়ে তুলে দেশ গড়ার কারিগরদের হাতগুলোর মধ্যে তাদের হাতকেও সামিল করতে পারবে। হিউম্যান সাইকোলজি মতে মানুষের মেধার বিকাশ হয় শৈশব, বাল্য ও কৈশোরকাল জুড়ে সময়টাতে। যাকে আমরা আন্তর্জাতিক মতে ১-১৬ বছর বয়সসীমা হিসেবে গণনা করতে পারি। তাই এই মেধা বিকাশে পৃথিবী পরিবর্তনকারী শিক্ষা নামক অস্ত্রটিকে শান দিতে রোবটিক্স তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশকে উন্নত দেশে রূপায়ণ করতে হলে ডিজিটাল বাংলাদেশে রোবটিক্স সময়ের দাবি।
ড. এ. পি. জে. আব্দুল কালাম বলেছেন," Dream is not that which you see while sleeping, it is something that does not let you sleep." অর্থাৎ," স্বপ্ন সেটা নয় যেটা আপনি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখেন, স্বপ্ন সেটাই যেটা আপনাকে ঘুমাতে দেয় না।"
অটোমেটেড বিশ্বে বাংলাদেশকে রোবটিক্সে সমৃদ্ধ করার নির্ঘুম স্বপ্ন পূরণ করতে মজারু এনেছে "রোবটিক্স ফর জুনিয়রস" কোর্স। কেন আপনি মজারুর কোর্সটি করবেন? এ প্রশ্নটির উত্তর হল মজারুর কোর্সটিতে থাকবে লাইভ ক্লাস যেখানে শিক্ষার্থীরা সরাসরি ইন্সট্রাক্টরদের সাথে কন্টাক্ট করতে পারবে। মজারুর এই কোর্সটিতে থাকবে মজার মজার রোবট তৈরির পদ্ধতি ও অনেকগুলো দারুণ প্রজেক্ট। মজারুর কোর্সটি সহজলভ্য এবং সঠিক তত্ত্বাবধায়নে সম্পন্ন হবে।
"রোবটিক্স ফর জুনিয়রস" কোর্সটির মাধ্যমে আপনার সন্তান উদ্ভাবক হওয়ার স্বপ্ন দেখবে ও তা বাস্তবায়ন করার পথে কয়েকধাপ এগিয়ে যাবে।
রোবটিক্সে বাংলাদেশকে উন্নতির পথে ধাবিত করতে আমাদের নবজাতকদের রোবটিক্সের উপর সফল চর্চা ও প্রয়োগ দক্ষতা থাকা আবশ্যক। সেই সফল চর্চা বা প্রয়োগের পথ খুলে দিতে মজারু "রোবটিক্স ফর জুনিয়রস" কোর্সটির মাধ্যমে এগিয়ে এসেছে। আপনারাও নিজের সন্তানকে কোর্সটিতে অ্যাডমিট করে এগিয়ে আসবেন কি?